ইফতার বিতরণ কর্মসূচি

পবিত্র রমজান মাসে, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র ও অসহায়দের মধ্যে ইফতার বিতরণ করে মানবিক সহায়তা প্রদান করা। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণ নয়, বরং সমাজে ঐক্য, সহমর্মিতা এবং সামাজিক সংহতির বোধ জাগানো।

খেজুর।

Meals

Families

Campaign Objective
পবিত্র রমজান মাসে, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র ও অসহায়দের মধ্যে ইফতার বিতরণ করে মানবিক সহায়তা প্রদান করা। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণ নয়, বরং সমাজে ঐক্য, সহমর্মিতা এবং সামাজিক সংহতির বোধ জাগানো।

কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রমজান হলো আত্মোপলব্ধি, সহানুভূতি এবং সামাজিক সম্প্রীতির মাস। এই মূল্যবোধগুলোর সাথে সংগতি রেখে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা ব্যক্তি ও পরিবারগুলোর কাছে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের ইফতার বিতরণ কর্মসূচিটি হাতে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে এই কার্যক্রমটি নিশ্চিত করেছে যে, রোজার সময় প্রয়োজনীয় খাবার থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।

এই কর্মসূচি কেবল শারীরিক ক্ষুধা মেটানোর বাইরেও কাজ করেছে; এটি সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করেছে এবং সুবিধাবঞ্চিতদেরকে সম্মানের সাথে রোজা পালনের সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়াও, এটি ঈদের প্রস্তুতিকে আরও সহজ করেছে, যাতে সুবিধাভোগীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দের সাথে এই উৎসব উদযাপন করতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, রমজানের আশীর্বাদ সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে, যা উদারতা এবং সহানুভূতির মূল বার্তাটিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।

ইফতার প্যাকেজের উপাদান
প্রতিটি ইফতার প্যাকেজ সুষম পুষ্টি এবং রোজা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সতর্কতার সাথে সাজানো হয়েছিল। প্রতিটি প্যাকেজে যা যা ছিল:

  • খেজুর।
  • পানি বা সতেজ পানীয়।
  • তাজা ফল (সাধারণত কলা, আপেল, কমলা ইত্যাদি)।
  • পাউরুটি বা হালকা নাস্তা।
  • দুধ
  • ছোলা ভাটোরা/ছোলাবুট।
  • পেঁয়াজু ও চপ-এর মতো মজাদার খাবার।
  • ছোট মিষ্টি ও বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার।

প্রভাব এবং তাৎপর্য
এই কর্মসূচিটি অভাবী মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করে কমিউনিটিতে একটি অর্থবহ প্রভাব ফেলেছে। এটি সহানুভূতিকে উৎসাহিত করেছে, সম্মিলিত দায়িত্ববোধকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং রমজানে দান করার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। সুবিধাভোগীরা কেবল পুষ্টি থেকেই উপকৃত হননি, বরং তারা নতুন করে আশা ও অন্তর্ভুক্তির অনুভূতিও লাভ করেছেন।

এই সুসংগঠিত এবং সহানুভূতিশীল পদ্ধতির মাধ্যমে, ইফতার বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে শারীরিক পুষ্টি এবং মানসিক সহায়তা উভয়ই প্রদান করেছে, যা রমজানের এই পবিত্র মাসে সামাজিক সংহতি এবং মানবিক যত্নের নীতিগুলোকে আরও জোরদার করেছে।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • রমজান মাসে রোজাদারদেরকে পুষ্টিকর ইফতার সরবরাহ করা।
সুবিধাভোগী
  • প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবার।
খরচের খাত
  • ইফতারের খাবার কেনা।
  • ব্যবস্থাপনার খরচ।
প্রকল্পের এলাকা
  • ৬৪টি জেলার দরিদ্র এলাকা।
সময়কাল
  • বার্ষিক এবং চলমান প্রকল্প (রমজান মাস কেন্দ্রিক)।

মিডিয়া গ্যালারি