জরুরি ত্রাণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন সহায়তা।

দুর্যোগগ্রস্ত মানুষের কাছে খাদ্য, আশ্রয়, বস্ত্র ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্থিতিশীল ও স্বনির্ভর জীবন নিশ্চিত করা।

সহায়তাপ্রাপ্ত মানুষ

আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি

সফলভাবে পুনর্বাসিত

ভূমিকা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আগুন লাগা এবং অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের কারণে প্রায়ই হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং অসহায় হয়ে পড়ে। এমন সংকটপূর্ণ সময়ে, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি নিরাপত্তা, বেঁচে থাকার ব্যবস্থা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করতে **ত্রাণ ও পুনর্বাসন** কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জরুরি ত্রাণ

বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগের পর জরুরি দলগুলো দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে সাড়া দেয়। এর মধ্যে রয়েছে:

  • খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি।
  • পোশাক এবং কম্বল।
  • অস্থায়ী আশ্রয় সামগ্রী।
  • চিকিৎসা সহায়তা এবং স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী।

এই দ্রুত পদক্ষেপ দুর্ভোগ কমাতে এবং আরও প্রাণহানি রোধ করতে সাহায্য করে।

পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার

জরুরি সাহায্যের বাইরেও, জীবন এবং জীবিকা পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পটি পরিবারগুলোকে তাদের বাড়িঘর পুনরায় তৈরি করতে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে পেতে এবং টেকসই কমিউনিটি পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ দেয়। এর প্রধান ধাপগুলো হলো:

  • বাড়ি তৈরি এবং মেরামতের জন্য সহায়তা।
  • প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে জীবিকা পুনরুদ্ধার।
  • ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য শিক্ষা এবং মানসিক সহায়তা।
  • ভবিষ্যৎ দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি নিতে কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মসূচি।

কমিউনিটির সাক্ষ্য

‘‘যখন বন্যায় আমাদের ঘর ভেসে গিয়েছিল, তখন আমরা ভেবেছিলাম সব শেষ হয়ে গেছে। ত্রাণ দল শুধু আমাদের খাবার আর আশ্রয়ই দেয়নি, বরং আমাদের ঘর পুনরায় তৈরি করতেও সাহায্য করেছে। এখন আমরা নতুন করে আশা নিয়ে শুরু করতে পেরেছি।” - উপকূলীয় অঞ্চলের একজন সুবিধাভোগী।

প্রভাব ও লক্ষ্য

ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম নিশ্চিত করে যে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যেন পেছনে পড়ে না থাকে। এর লক্ষ্য হলো হতাশার বদলে আশা জাগানো—মানুষকে মর্যাদা ও সম্মানের সাথে আবার ঘুরে দাঁড়াতে, নিজেদের জীবন ও কমিউনিটি পুনর্গঠন করতে এবং উন্নতি করতে সাহায্য করা।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে তাৎক্ষণিক জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া।

  • ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা এবং স্বাবলম্বী করে তোলা।

  • ভবিষ্যৎ দুর্যোগের বিরুদ্ধে কমিউনিটির প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা।

  • অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য মর্যাদা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।

সুবিধাভোগী
  • দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে তাৎক্ষণিক জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া।

  • ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা এবং স্বাবলম্বী করে তোলা।

  • ভবিষ্যৎ দুর্যোগের বিরুদ্ধে কমিউনিটির প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা।

  • অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য মর্যাদা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।

খরচের খাত
  • জরুরি খাদ্য, পোশাক এবং আশ্রয় সামগ্রী।

  • অস্থায়ী আবাসন নির্মাণ।

  • জীবিকা ও পুনর্বাসন বিষয়ক কর্মসূচি।

  • চিকিৎসা এবং মানসিক সহায়তা।

  • দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ।

প্রকল্পের এলাকা
  • বন্যাপ্রবণ গ্রামীণ অঞ্চল।

  • উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়-দুর্গত এলাকা।

  • আগুন এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।

সময়কাল
  • **পর্যায় ১:** তাৎক্ষণিক জরুরি প্রতিক্রিয়া (০-৩ মাস)।

  • **পর্যায় ২:** পুনর্বাসন ও জীবিকা পুনরুদ্ধার (৬-১২ মাস)।

  • **পর্যায় ৩:** দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা (১-৩ বছর)।

মিডিয়া গ্যালারি